স্পেন থেকে সংবাদদাতা :: স্পেনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সাত বাংলাদেশী আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ওই বাংলাদেশীরা করোনায় আক্রান্ত হন।
আটজনের মধ্যে তিনজন সিলেটের, ঢাকার দুইজন, যশোরের একজন। অপরদের বাড়ি জানা যায়নি। সাতজনই বর্তমানে হাসপাতালে আছেন।
এদিকে ঢাকার ২ জন স্বামী-স্ত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। এই প্রথম একসাথে দেশটিতে মোট সাতজন বাংলদেশী এই ভাইরাসের শিকার হলেন। সেখানেই তারা চিকিৎসাধীন।
বাংলাদেশী মানবাধিকার সংস্থা ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি মো. ফজলে এলাহী এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, আক্রান্তদের ৩ জনের বাড়ি সিলেটে একজনের বয়স ৪৫, আরেকজনের ৪৩ এবং অপরজন ৩৫ বছর বয়সী মহিলা। তারা দেশটির রাজধানী মাদ্রিদের বাঙালি অধ্যুষিত লাভাপিয়েসে থাকেন।
তবে করোনায় আক্রান্ত অপর দুইজন সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। আক্রান্ত স্বামীর বয়স ৩৭, স্ত্রীর ২৬।
তাদের দুই মাসের একটি বাচ্চাকে হ্যাসপাতাল হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা দেশটির রাজধানী মাদ্রিদের অদূরে কারাবানচলে থাকেন।
তবে করোনায় আক্রান্ত অপর দুইজনই তরুণ। একজন ২৫ বছর বয়সী, অপরজন ২৬ বছর বয়সী। ২৫ বছর বয়সী তরুণের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অপরজনের বাড়ি জানা যায়নি। তারা দুইজনই রাজধানী মাদ্রিদে দীর্ঘদিন থেকে বসবাসরত।
দেশটির রাজধানী মাদ্রিদসহ বিভিন্ন শহরে এরই মধ্যে করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে রাজধানী মাদ্রিদ, বার্সেলোনাসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অফিস আদালত বন্ধ করা হয়েছে। এমনকি বাঙালি অধ্যুষিত লাভাপিয়েসের বাঙালি পরিচালনাধীন বায়তুল মোকাররম বাংলাদেশ মসজিদে আজকের জুমার নামাজও সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। যানবাহনে এবং চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতেতে আতঙ্কিত স্প্যানিশ নাগরিকসহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
উল্লেখ্য, স্পেনে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার তিনজন। এর মধ্যে ১৮৯ জন সুস্থ হয়েছেন।
পাঠকের মতামত: